মাটির পাত্রে পানি পান করার উপকারিতা


বাংলাদেশের কণ্ঠ ডেস্ক প্রকাশের সময় : মে ১৪, ২০২২, ৫:৫৭ অপরাহ্ন /
মাটির পাত্রে পানি পান করার উপকারিতা

গরমে ঠান্ডা পানির বিকল্প নেই। কিন্তু এই যে আপনি বাড়িতে ফিরেই ফ্রিজের ঠান্ডা পানি ঢকঢক করে খেয়ে নিচ্ছেন, এটি কি স্বাস্থ্যকর? ফ্রিজের ঠান্ডা পানি যতটা সম্ভব কম খাওয়ার পরামর্শ দেন বিশেষজ্ঞরা। এর বদলে বাড়িতে রাখতে পারেন মাটির কলস বা ঘড়া। যদিও এর ব্যবহার অনেকটা কমেছে। কিন্তু মাটির পাত্রে রাখা পানি পান করা বেশি স্বাস্থ্যকর।

বর্তমানে অনেকেই মাটির কলসি ব্যবহারের কথা ভুলে গেছেন। একটা সময় যে এমন কলসিতে পানি রেখেই ঠান্ডা করে খাওয়া হতো, সেই স্মৃতিও মলিন হতে চলেছে। এদিকে ফ্রিজের ঠান্ডা পানি ওজন বাড়িয়ে দিতে পারে, হজমে গোলমাল বাঁধাতে পারে আবার এটি তৃষ্ণা নিবারণেও খুব একটা সহায়ক না। সব দিক বিবেচনা করে মাটির কলসিই ফিরিয়ে আনুন আবার। জেনে নিন মাটির পাত্র বা কলসিতে রাখা পানি আপনাকে কীভাবে উপকার করবে-

মেটাবোলিজম ঠিক রাখে
আমাদের শরীরের মেটাবলিজম সঠিক রাখতে কাজ করে মাটির কলসি। এর কারণ হলো মাটির পাত্রে একধরনের ইলেকট্রন থাকে যেটি শরীরের জন্য উপকারী। যে কারণে মাটির পাত্রে রাখা পানি পান করলে শরীরে মেটাবলিক রেট বাড়তে থাকে।

শরীরে আর্দ্রতা ধরে রাখে
গরমে প্রাকৃতিকভাবে ঠান্ডা পানি পাওয়ার জন্য মাটির কলসির বিকল্প নেই। এটি এসময় শরীরের পক্ষে খুবই সহায়ক। এই পানি শরীরের আর্দ্রতা ধরে রাখতে কাজ করে। ফলে শরীর থাকে অনেকটাই সতেজ। এতে কোনো ধরনের রাসায়নিক থাকে না। যে কারণে এই পানি পানে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার ভয়ও নেই।

রোদের তীব্রতা থেকে বাঁচায়
গরমে রোদের তীব্রতা থেকে বাঁচতে আপনাকে সাহায্য করবে মাটির পাত্রে রাখা ঠান্ডা পানি। এটি সান স্ট্রোক থেকে সুরক্ষা দেবে। মাটির পাত্রে রাখা পানি পান করলে শরীরের গরম অনেকটােই কমে গিয়ে শরীর ঠান্ডা হয়।

টক্সিন দূর করে
শরীরে টক্সিক কেমিক্যালের মাত্রা কমাতে সাহায্য করে মাটির পাত্রে রাখা পানি। লোহা, স্টিল কিংবা প্লাস্টিক জাতীয় পাত্রে পানি রাখলে সেখান থেকে নানা ধরনের দূষিত পদার্থ ঢুকতে পারে শরীরে। তবে মাটির পাত্রে পানি রাখলে সেটি সম্ভব নয়। শরীরের অ্যাসিড দূর করতেও কাজ করে এটি।

গ্যাস্ট্রিকের সমস্যায় সমাধান
যাদের গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা আছে তারা নিয়মিত মাটির পাত্রে রাখা পানি পান করতে পারেন। এটি বেশ ভালো কাজ করে। যারা একটু বয়স্ক, তারা পানি পানের ক্ষেত্রে মাটির পাত্র ব্যবহার করুন। এতে শরীরের অনেক সমস্যার সমাধান মিলবে।