সয়াবিন ও পাম তেল ভোজ্যতেলের ভ্যাট–সুবিধা মেয়াদ আরও ৪ মাস বাড়ল


বাংলাদেশের কণ্ঠ ডেস্ক প্রকাশের সময় : জানুয়ারী ৪, ২০২৩, ১২:৩৫ অপরাহ্ন /
সয়াবিন ও পাম তেল ভোজ্যতেলের ভ্যাট–সুবিধা মেয়াদ আরও ৪ মাস বাড়ল

আজকালের কন্ঠ ডেস্ক : দেশের বাজারে ভোজ্যতেলের মূল্য স্থিতিশীল রাখতে সয়াবিন ও পাম তেলের ওপর আরোপিত ভ্যাট অব্যাহতির মেয়াদ চলতি বছরের ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত চার মাস বাড়ানো হয়েছে। গত ৩১ ডিসেম্বরে এই মেয়াদ শেষ হয়ে গিয়েছিল।

এই সুবিধার আওতায় সয়াবিন ও পাম তেলের উৎপাদন ও ব্যবসায়িক পর্যায়ে সব ভ্যাট ছাড় পাবেন ব্যবসায়ীরা। তবে আমদানি পর্যায়ে ৫ শতাংশ ভ্যাট দিতে হবে তাঁদের।

জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) গতকাল মঙ্গলবার এ–সংক্রান্ত এক প্রজ্ঞাপন জারি করেছে। এই প্রজ্ঞাপন এমন এক সময়ে এল, যখন বিশ্ববাজারে ইন্দোনেশিয়া পাম তেল সরবরাহে কড়াকড়ির ঘোষণা দিয়েছে। দেশটি পাম তেলের সবচেয়ে বড় উৎপাদক। অভ্যন্তরীণ বাজারে পাম তেলের সরবরাহ স্বাভাবিক রাখতে দেশটির সরকার এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

অবশ্য বিশ্ববাজারে পণ্যের দাম বেশি থাকায় ও ডলারের বাজার স্থিতিশীল না হওয়ায় দেশের ব্যবসায়ীরাও ভোজ্যতেলের ভ্যাট–সুবিধা প্রত্যাহারের পক্ষে ছিলেন। তাঁদের দাবি ছিল, বাজারব্যবস্থা এখনো যেহেতু পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আসেনি, তাই ভ্যাট–সুবিধা অব্যাহত থাকলে ভোজ্যতেলের দাম জনগণের ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে থাকবে। গত বছরের মার্চ থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত কয়েক দফায় এই সুবিধা পান ব্যবসায়ীরা।

সর্বশেষ গত অক্টোবর মাসে আন্তর্জাতিক বাজারে ভোজ্যতেলের মূল্যে ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা ছিল বিবেচনা করে স্থানীয় বাজারে মূল্য স্থিতিশীল রাখতে এনবিআর ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত ভ্যাট–সুবিধা চালু রাখে। এর আগে জুলাই মাসে এক প্রজ্ঞাপনে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত একই সুবিধা দিয়েছিল সংস্থাটি। ভ্যাট–সুবিধা মওকুফের পর দেশের বাজারে সয়াবিন ও পাম তেলের দাম অবশ্য কিছুটা কমে।

এনবিআর সূত্রে জানা যায়, পরিশোধিত সয়াবিন তেল ও পরিশোধিত পাম তেলের ক্ষেত্রে উৎপাদন পর্যায়ে ১৫ শতাংশ ও ব্যবসায়িক পর্যায়ে ৫ শতাংশ ভ্যাট ছিল। গত বছরের ১৪ মার্চ তারা এক প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে এই ভ্যাট তুলে নেয়।

এরপর ব্যবসায়ীদের দাবি ছিল, আমদানি পর্যায়ের ভ্যাট প্রত্যাহার করা হোক। তা না হলে বাজারে ভোজ্যতেলের দাম কমবে না। ফলে গত ১৬ মার্চ আরেক প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে ব্যবসায়ীদের সেই দাবিও অনেকটা মেনে নেয় সরকার।

আমদানি পর্যায়ে ভ্যাট ১০ শতাংশ তুলে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় সরকার। এখন আমদানি পর্যায়ে বাকি ৫ শতাংশ ভ্যাট চালু রয়েছে। সব মিলিয়ে সয়াবিন ও পাম তেলের ওপর থেকে সরকার মোট ৩০ শতাংশ ভ্যাট তুলে নিয়েছে, যা সয়াবিনের বাজার নিয়ন্ত্রণে কিছুটা হলেও কাজে এসেছে।