আক্রমণ করবো না, সতর্ক পাহারায় থাকবো: ওবায়দুল কাদের


বাংলাদেশের কণ্ঠ ডেস্ক প্রকাশের সময় : জানুয়ারী ৭, ২০২৩, ২:৩৮ অপরাহ্ন /
আক্রমণ করবো না, সতর্ক পাহারায় থাকবো: ওবায়দুল কাদের

আজকালের কন্ঠ ডেস্ক : আগামী ১১ জানুয়ারি সারাদেশে বিএনপির গণঅবস্থান কর্মসূচির দিন আওয়ামী লীগ সতর্ক প্রহরায় থাকবে বলে জানিয়েছেন দলটির সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেছেন, ভবিষ্যতে কী হবে জানি না। তবে আমরা সতর্ক পাহারায় থাকবো। আমরা কাউকে আক্রমণ করবো না। আক্রান্ত হলে উদ্ভূত পরিস্থিতি কী জবাব দেবে, প্রশাসন জবাব দেবে, নাকি পার্টি দেবে, সেটা সময় বলে দেবে।

শুক্রবার সন্ধ্যায় আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার ধানমন্ডির রাজনৈতিক কার্যালয়ে দলটির সম্পাদকমণ্ডলীর সঙ্গে সহযোগী-ভাতৃপ্রতীম সংগঠনের যৌথসভায় ওবায়দুল কাদের এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, ‘আপনি আমাকে বারবার মারবেন, আমি চুপ করে থাকবো! দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে ললিপপ খাবো, তা কী হয়! এটা হয় না। আমরা সারাদেশেই আগে যেমন ছিলাম, তেমনই সতর্ক অবস্থায় থাকবো।’

আগামী নির্বাচনে বিএনপি আসবে, এমন আশাবাদ ব্যক্ত করে ওবায়দুল কাদের বলেন, সময় আরও এক বছর, সময় গড়িয়ে যাবে। পদ্মা, মেঘনা, যমুনা, ব্রহ্মপুত্রে অনেক পানি বয়ে যাবে। অনেক পরিবর্তন হবে। গতবারও তো বিএনপি ২১ দল নিয়ে বললো- নির্বাচন করবে না। শেষ পর্যন্ত নির্বাচনে এসেছে।

বিএনপির যুগপৎ আন্দোলনে বিভিন্ন দলের সম্পৃক্ত হওয়া প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এখন কিছু কিছু দল আছে, জিরো প্লাস জিরো প্লাস জিরো। এখন তারা থাকলেও কী, না থাকলেও কী? কাউকে উপহাস করছি না। গণতন্ত্রে অনেক দল আছে সাইনবোর্ডে, অনেকে দল লেটারহেডে আছে। এই ঐক্যের ভবিষ্যৎ কী?

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, বিএনপির জনসমাগম করতে নেতৃত্ব প্রয়োজন। কে নেতৃত্ব দেবে এই আন্দোলনকে? কে নেতৃত্ব দেবে আগামী নির্বাচনে? সেই লোকটি কে? তারা তো নির্বাচনের যোগ্য নয়। যে দুই জনের কথা বলবেন- তাদের একজন লন্ডনে, আরেকজন জেলে। জেলে মানে শেখ হাসিনার উদারতা বাসায় আছেন। কিন্তু তিনি তো সাজাপ্রাপ্ত।

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারপারসন তারেক রহমান প্রসঙ্গে তিনি বলেন, তিনি (তারেক রহমান) ১০ তারিখে আসবেন শুনলাম, ৩০ তারিখে আসবেন শুনলাম। আসলে দেশে ফিরে আসার সৎ সাহস তার আছে বলে বাংলাদেশের লোক এখন আর বিশ্বাস করে না।

এক প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘দেশের বিচারব্যবস্থা কী পরাধীন, সরকারের অধীন? সরকারের কত লোক আজ কারাগারে, কত লোক দুদকের মামলায় হাজিরা দিচ্ছেন? তারপর দুদকের মামলায় অনেকেই কারাগারে আছেন। অনেকে কনভিক্টেড হয়ে গেছেন। সেখানে তো বিএনপিরও অনেকে জামিন পাচ্ছেন। পাননি?’

যৌথসভায় আরও উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য অ্যাডভোকেট ইউসুফ হাসান হুমায়ুন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ, শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি, সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন, অ্যাডভোকেট আফজাল হোসেন, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক প্রকৌশলী আবদুস সবুর, স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ডা. রোকেয়া সুলতানা, আইন বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট নজিবুল্লাহ হিরু, ঢাকা মহানগর উত্তরের সভাপতি শেখ বজলুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক এসএম মান্নান কচি, ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সভাপতি আবু আহমেদ মন্নাফী, সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন কবির, যুবলীগের চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পরশ, কৃষক লীগের সভাপতি সমীর চন্দ, সাধারণ অ্যাডভোকেট উম্মে কুলসুম স্মৃতি, যুব মহিলা লীগের সভাপতি আলেয়া সারোয়ার ডেইজী, ছাত্রলীগের সভাপতি সাদ্দাম হোসেন, সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালী আসিফ ইনান প্রমুখ।