আজকালের কন্ঠ ডেস্ক : নির্বাচনে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার অংশগ্রহণ সম্পর্কে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, তিনি (খালেদা জিয়া) দণ্ডিত, এ অবস্থানটা তার নির্বাচন করার পক্ষে নয়। নির্বাচনের যোগ্য নন তিনি। বিএনপি নেতা হিসেবে তিনি যদি রাজনীতি করতে চান, তাহলে তাকে মুক্তির শর্ত অনুযায়ী করতে হবে।
আজ সোমবার বিকেলে বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণে অমর একুশে বইমেলায় ছাত্রলীগের বইয়ের স্টল পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন।
কাদের বলেন, আওয়ামী লীগ সংঘাত চায় না, শান্তি চায়। কিন্তু বিএনপি আন্দোলনে ব্যর্থ হয়ে সংঘাতের দিকে যেতে চায়। ২০১৩-১৪ সালের মতো সহিংসতা ও অগ্নিসন্ত্রাসের মতো ঘটনার পুনরাবৃত্তি যেন করতে না পারে সেজন্য সরকারের পাশাপাশি আওয়ামী লীগ সতর্ক ও প্রস্তুত আছে।
তিনি বলেন, আমরা সরকারে আছি, শান্তি চাই। বিশৃঙ্খলা কেন করব? পাল্টাপাল্টি সমাবেশ আমরা দেইনি। নির্বাচন পর্যন্ত আমাদের নিজস্ব কর্মসূচি আছে। আমরা শান্তি সমাবেশ, গণসংযোগ করছি। আমরা সংঘাত চাই না, প্রতিযোগিতা চাই। রাজনীতিতে ও নির্বাচনে প্রতিযোগিতা চাই। বিএনপি সংঘাত চায়।
সেতুমন্ত্রী বলেন, বর্তমানে দেশে কোনো সংঘাতময় পরিস্থিতি নেই। বিক্ষোভ সমাবেশ করতে লোক লাগে, সংঘাত করতে দু’চারজন হলেই চলে। বিএনপির সে স্বভাব ও শিক্ষা আছে।
তিনি বলেন, বিএনপির নিজেদের ঘরেই গণতন্ত্র নেই, তারা দেশে গণতন্ত্র চায় না, তারা সংঘাতময় পরিস্থিতি তৈরি করে অন্ধকারের চোরাগলি দিয়ে ক্ষমতায় যেতে চায়।
তিনি আরও বলেন, সংবিধান পরিবর্তন করে তত্ত্বাবধায়ক সরকার নয়। তবে বিএনপি যদি সংবিধানে সমাধান খুঁজে পায় তাহলে আমরা কেন করব না?
বিদেশি চাপ সম্পর্কে কাদের বলেন, বিএনপি নেতারা সকালে ঘুম থেকে উঠেই দূতাবাস ও হাইকমিশনে নালিশ করতে যায়। এজন্য মানুষ বিএনপিকে নালিশ পার্টি বলে। আওয়ামী লীগ সরকার নয়, বিএনপি চাপে আছে। ডোনাল্ড লু (মধ্য ও দক্ষিণ এশিয়াবিষয়ক মার্কিন সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী), মার্কিনিদের সঙ্গে অন্তরঙ্গ বৈঠক না হওয়ায় বিএনপির এখন হতাশা। আমরা চাপে নেই। আমরা সংবিধান অনুযায়ী চলছি।
পরে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের বইমেলা প্রাঙ্গণে চিত্রনায়িকা কেয়া রচিত ‘প্রেমিকের নাম কবিতা’ গ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন করেন।
আপনার মতামত লিখুন :