বিচ্ছিন্ন ঘটনায় শেষ হলো দুই সিটিতে ভোটগ্রহণ, চলছে গণনা


বাংলাদেশের কণ্ঠ ডেস্ক প্রকাশের সময় : মার্চ ৯, ২০২৪, ৪:৫২ অপরাহ্ন /
বিচ্ছিন্ন ঘটনায় শেষ হলো দুই সিটিতে ভোটগ্রহণ, চলছে গণনা

বিচ্ছিন্ন ঘটনার মধ্যে দিয়ে কুমিল্লা ও ময়মনসিংহ সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনের ভোটগ্রহণ শেষ হয়েছে। দুই সিটিতে শনিবার (৯ মার্চ) সকাল ৮টা থেকে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনের (ইভিএম) মাধ্যমে ভোটগ্রহণ শুরু হয়। বিকেল ৪টা পর্যন্ত ময়মনসিংহ সিটি কর্পোরেশনে সাধারণ নির্বাচন ও কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশনে মেয়র পদে উপনির্বাচনের ভোটগ্রহণ করা হয়। এখন ভোটগণনা চলছে।

ময়মনসিংহে শান্তিপূর্ণ নির্বাচন হলেও কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশনে ভোটকেন্দ্রে গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে। সকাল সাড়ে ১০টার দিকে নগরীর ১৯ নম্বর ওয়ার্ডের মুন্সি এম আলী উচ্চ বিদ্যালয় ভোটকেন্দ্রে গোলাগুলিতে দুইজন গুলিবিদ্ধ হন।

স্থানীয়রা জানান, সকাল সাড়ে ১০টার দিকে এম আলী উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রের পাশে বাস প্রতীকের মেয়র প্রার্থী তাহসিন বাহার সূচনা ও ঘোড়া প্রতীকের নিজাম উদ্দিন কায়সারের সমর্থকদের মধ্যে গোলাগুলির ঘটনা ঘটে। এ সময় সুমন নামে এক ছাত্রলীগ নেতা কোমর থেকে পিস্তল বের করে গুলি করলে তুহিন হোসেন এবং জহির আহমেদ নামে ঘোড়া প্রতীকের দুই সমর্থকের পায়ে গুলি লাগে। পরে পুলিশের স্ট্রাইকিং ফোর্স ঘটনাস্থলে এসে দুই পক্ষকে ছত্রভঙ্গ করে দেয়। গুলিবিদ্ধ দুইজনকে উদ্ধার করে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান অন্য সমর্থকরা।

তবে এ ঘটনায় আবু সুফিয়ান অন্তু (২৭) নামে এক ছাত্রদল নেতাকে আটক করেছে পুলিশ। এ বিষয়ে সদর দক্ষিণ মডেল থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আলমগীর হোসেন ভূঁইয়া ঢাকা পোস্টকে বলেন, জিজ্ঞাসাবাদের জন্য অন্তু নামে একজনকে আটক করা হয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদে তার সংশ্লিষ্টতা পেলে তাকে গ্রেপ্তার দেখানো হতে পারে।

এছাড়া কুমিল্লা নগরীর হোচ্ছাম হায়দার উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে ভোট দিতে এসে কেন্দ্র থেকে এজেন্ট বের করে দেওয়া, ভোটারদের কেন্দ্রে প্রবেশ করতে না দেওয়ার অভিযোগসহ ভোটের পরিবেশ নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেন ঘড়ি প্রতীকের মেয়র প্রার্থী মনিরুল হক সাক্কু।

সাক্কু বলেন, আমি সিটি কর্পোরেশনের দুইবার মেয়র ছিলাম। মানুষ আমাকে ভালোবাসে। আমার প্রতিদ্বন্দ্বী বাস প্রতীকের সমর্থকেরা ভোটারদের কেন্দ্রে আসতে দিচ্ছে না। রাতে বাড়ি বাড়ি গিয়ে হুমকি দেওয়া হয়েছে। আজ সকাল থেকেই পথে পথে পাহারা বসানো হয়েছে যেন আমার ভোটাররা কেন্দ্রে না আসতে পারে। নির্বাচন কমিশনের কাছে বারবার অভিযোগ দিয়েছি। কিন্তু কোনো কাজ হয়নি। তিনটা ওয়ার্ডে আমার কোনো এজেন্টকে ঢুকতেও দেওয়া হয়নি। ভোটের পরিবেশ একদম ভালো নয়। আশা করছি নির্বাচন কমিশন যদি উদ্যোগ নেয়, ভোটাররা যদি কেন্দ্রে আসতে পারে, আমি জয়ী হব।