৫ মাসে মোবাইল ইন্টারনেট গ্রাহক কমেছে ৩৫ লাখ, বেড়েছে ব্রডব্যান্ডে


বাংলাদেশের কণ্ঠ ডেস্ক প্রকাশের সময় : মার্চ ৩০, ২০২৪, ২:৫৫ অপরাহ্ন /
৫ মাসে মোবাইল ইন্টারনেট গ্রাহক কমেছে ৩৫ লাখ, বেড়েছে ব্রডব্যান্ডে

দেশে গত পাঁচ মাসে প্রায় ৩৫ লাখ মুঠোফোন (মোবাইল) ইন্টারনেট গ্রাহকের সংখ্যা কমেছে। এর বিপরীতে বেড়েছে ব্রডব্যান্ড (আইএসপি ও পিএসটিএন) ব্যবহারকারী গ্রাহকের সংখ্যা। এমন তথ্য উঠে এসেছে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) প্রকাশিত সর্বশেষ প্রতিবেদনে। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, গ্রাহকপর্যায়ে মুঠোফোন ইন্টারনেটের দাম বৃদ্ধি পাওয়ার কারণে খরচ বাঁচাতে সাধারণ মানুষজন এখন ব্রডব্যান্ডে ঝুঁকছেন।

বর্তমানে দেশে চারটি প্রতিষ্ঠান গ্রাহকপর্যায়ে মোবাইল ইন্টারনেট সেবা দিচ্ছে। সেগুলো হচ্ছে— গ্রামীণফোন, রবি আজিয়াটা, বাংলালিংক এবং টেলিটক।

বিটিআরসির প্রকাশিত হিসাব অনুযায়ী— ২০২৩ সালের সেপ্টেম্বর মাসে দেশে মোবাইল ইন্টারনেটের গ্রাহক ছিল ১১ কোটি ৯৭ লাখ ৭০ হাজার। আর ২০২৪ সালের জানুয়ারি মাসে দেশে মোবাইল ইন্টারনেটের গ্রাহক কমে ১১ কোটি ৬৩ লাখে নেমেছে। বিটিআরসি চলতি বছরের জানুয়ারি মাস পর্যন্তই হিসাব প্রকাশ করেছে। ফেব্রুয়ারি মাসের তথ্য এখনো প্রকাশ করেনি।

সংস্থাটির প্রকাশিত তথ্য পর্যালোচনা করে আরও দেখা যায়, ২০২৩ সালের আগস্টে মোবাইল ইন্টারনেটের গ্রাহক বেড়ে দাঁড়িয়েছিল ১১ কোটি ৯৭ লাখ ৯০ হাজার। এরপর সেপ্টেম্বর থেকে গ্রাহক কমতে শুরু করে। সেপ্টেম্বরে ২০ হাজার গ্রাহক কমে ১১ কোটি ৯৭ লাখ ৭০ হাজারে নেমে যায়। অক্টোবরে এক লাফে ৩ লাখ ৬০ হাজার গ্রাহক কমে দাঁড়ায় ১১ কোটি ৯৪ লাখ ১০ হাজারে। নভেম্বর প্রায় ৫ লাখ গ্রাহক কমে যায়। ওই মাসে গ্রাহক ছিল ১১ কোটি ৮৯ লাখ ৬০ হাজার। এরপর ডিসেম্বর তা কমে ১১ লাখ ৮৪ লাখ ৯০ হাজারে নেমে যায়। সর্বশেষ জানুয়ারি মাসে মোবাইল ইন্টারনেট গ্রাহক সংখ্যা কমে ১১ কোটি ৬০ লাখ ৩০ হাজারে নামে।

অপরদিকে আইএসপি (ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডার) ও পিএসটিএন (পাবলিক সুইচড টেলিফোন নেটওয়ার্ক) এর প্রতি ঝুঁকতে দেখা গেছে গ্রাহকদের। সেখানে ইন্টারনেট গ্রাহক উল্টো বেড়েছে। তথ্যানুযায়ী, ২০২৩ সালের সেপ্টেম্বর মাসে আইএসপি ও পিএসটিএন গ্রাহকের সংখ্যা ছিল ১ কোটি ২৪ লাখ ৯০ হাজার। অক্টোবর ও নভেম্বরে এ ইন্টারনেটের গ্রাহকের সংখ্যায় হেরফের হয়নি। ডিসেম্বরে আইএসপি ও পিএসটিএন ইন্টারনেট গ্রাহকের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১ কোটি ২৮ লাখ ৮০ হাজার। সর্বশেষ জানুয়ারি মাসেও একই গ্রাহক সংখ্যা বজায় রয়েছে।