ভারতে প্রকাশ্য রাস্তায় ধর্ষণ, দাঁড়িয়ে দেখল অনেকেই, করল ভিডিও


বাংলাদেশের কণ্ঠ ডেস্ক প্রকাশের সময় : সেপ্টেম্বর ৮, ২০২৪, ৩:৪১ অপরাহ্ন /
ভারতে প্রকাশ্য রাস্তায় ধর্ষণ, দাঁড়িয়ে দেখল অনেকেই, করল ভিডিও

ভারতের মধ্যপ্রদেশের উজ্জয়িনী জেলায় রাস্তার ধারে এক নারীর যৌন হেনস্থার শিকার হওয়ার ভিডিও গত কয়েকদিন ধরে ভাইরাল হয়ে গেছে। উজ্জয়িনীর ‘কয়লা ফটক’ মোড়ের ফুটপাথে গত বুধবার প্রকাশ্যেই ৪০ বছরের এক নারীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে ২৮ বছরের এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে।

আশ্চর্যজনকভাবে যেখানে এই ঘটনা ঘটেছে, সেটি উজ্জয়িনীর অন্যতম ব্যস্ত এলাকা। একই রাস্তায় একটি পেট্রোল পাম্প, উজ্জয়িনীর চরক হাসপাতাল ছাড়াও রয়েছে মদের দোকানও।

ওই ঘটনার সময় বহু মানুষ আসা-যাওয়া করলেও কেউ ঘটনাটি থামানোর চেষ্টা করেননি। বরং এরই মধ্যে কয়েকজন ঘটনার ভিডিও করতে থাকে।

ওই ইস্যুতে রাজ্যের রাজনীতি উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে। ভাইরাল ভিডিওটি সামাজিক মাধ্যমে শেয়ার করে কংগ্রেস ক্ষমতাসীন বিজেপিকে চাপে ফেলেছে। আবার পাল্টা আক্রমণ করে বিজেপির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, কংগ্রেস রাজ্যকে বদনাম করার চেষ্টা করছে।

এই ঘটনা এমন সময় ঘটলো, যখন ভারতের পশ্চিমবঙ্গে একজন তরুণী চিকিৎসককে হাসপাতালের ভেতরে ধর্ষণ করে হত্যার ঘটনায় সেখানে প্রবল বিক্ষোভ চলছে।

উজ্জয়িনীর পুলিশ সুপার প্রদীপ শর্মা বলেন, গত ৪ সেপ্টেম্বর বুধবার বিকেলের ঘটনা এটি। উজ্জয়িনীর যে অঞ্চলে এই ঘটনাটি ঘটছে তা জমজমাট এলাকা।

পুলিশ সুপারের কথায়, ‘নির্যাতিতা ও অভিযুক্ত দুজনেই একে অন্যকে আগে থেকেই চিনতেন। অভিযুক্ত ব্যক্তি রাস্তায় একটি ঠেলা নিয়ে দোকান চালায়। আর ধর্ষণের শিকার হওয়া নারী পুরোনো জিনিষপত্র কেনা-বেচা করেন। সেদিন দুজনেই কথা বলতে বলতে মদ খেয়েছিলেন। নেশা কাটার পরে ওই নারী জানিয়েছেন যে, ওই ব্যক্তি বিয়ে করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল, তারপরেই তারা দুজনে মদ্যপান করেন। ওই সময়েই এই ঘটনা হয়।’

তার কথায়, ‘৩৭৬ ধারায় ধর্ষণের মামলা রুজু করে অভিযুক্তকে আদালতে হাজির করানো হয়েছিল। অভিযুক্তর জেল হেফাজত হয়েছে। তদন্ত চলছে। একই সঙ্গে কে বা কারা ভিডিওটি বানিয়ে ভাইরাল করল, সেটাও খোঁজা হচ্ছে।’

পুলিশের কাছ থেকে পাওয়া তথ্যে জানা যাচ্ছে, বছর আটেক আগে ওই নারী উজ্জয়িনীতে আসেন এবং তার ১৮ বছরের একটি ছেলেও আছে। তবে এখন তিনি আর পরিবারের সঙ্গে থাকেন না।

পুলিশ সুপার জানিয়েছেন, ঘটনার সময় এক পথচারী পুলিশকে খবর দেন। সেখানে পৌঁছিয়ে ওই নারীকে সহায়তা দিয়ে থানায় নিয়ে যায় পুলিশ। তার নেশা কাটার পরে ওই নারীর বয়ান রেকর্ড করে মামলা দায়ের করা হয়।