কাউখালীর দাখিল পরীক্ষার ফলাফল বিপর্যয়


বাংলাদেশের কণ্ঠ ডেস্ক প্রকাশের সময় : জুলাই ৩১, ২০২৩, ৩:৩৩ অপরাহ্ন /
কাউখালীর দাখিল পরীক্ষার ফলাফল বিপর্যয়

কাউখালী (পিরোজপুর) প্রতিনিধি : পিরোজপুরের কাউখালী উপজেলার মাদ্রাসা গুলোতে এবছর দাখিল পরীক্ষার ফলাফল বিপর্যয় হয়ে পড়েছে। অধিকাংশ মাদ্রাসা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে এক তৃতীয়াংশ শিক্ষার্থী পাশ করতে পারেনি । বর্তমানে মাদ্রাসা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গুলোতে শিক্ষার্থীর সংখ্যা স্বল্প । এর মধ্যে নিয়মিত শিক্ষার্থীর চেয়ে অনিয়মিত শিক্ষার্থীর সংখ্যাই বেশি। এছাড়া প্রতিষ্ঠানে শিক্ষকরা নিয়মিত ক্লাস পরীক্ষা নেয় না। কাউখালীতে এবার ২০২২-২০২৩ শিক্ষাবর্ষে উপজেলার ১২টি মাদ্রাসা থেকে দাখিল পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেছিল মোট ৩১০ জন শিক্ষার্থী। এর মধ্যে কৃতকার্য হয়েছে ১১৬জন অকৃতকার্য হয়েছে ১৯৪ জন এবং উপজেলা থেকে একটিও এ+ পায়নি, পাসের হার ৩৭.৪১%। এ সকল এমপিও ভুক্ত মাদ্রাসা গুলোতে শিক্ষক ও কর্মচারীরা সরকারি বরাদ্দকৃত প্রতি মাসে প্রায় অর্ধকোটি টাকার অধিক বেতন-ভাতা পেয়ে থাকে। বেতন ভাতা ঠিকমতো পেলেও মাদ্রাসা গুলোর শিক্ষার মান উন্নয়ন করতে পারেনি। অভিভাবকরা জানায়, মাদ্রাসা গুলোতে সময়সূচী তারা মানে না, দুইটার ভিতরই অধিকাংশ মাদরাসা ছুটি হয়ে যায়। মাদ্রাসা গুলোর শিক্ষা ব্যবস্থা প্রায় ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে এসে দাঁড়িয়েছে।

উপজেলার ১২ টি মাদ্রাসা মধ্যে দাখিল পরীক্ষায় পঞ্চগ্রাম সম্মিলিত দাখিল মাদ্রাসায় ২২ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশগ্রহন করলেও পাশ করেছেন ২ জন । সপ্তগ্রাম সম্মিলিত দাখিল মাদ্রাসা থেকে পরীক্ষা দিয়েছিল ২৩ জন পাশ করছে ৬ জন। কাউখালী কেন্দ্রীয় আলিম মাদ্রাসা থেকে পরীক্ষা দিয়েছিল ২৭ জন, পাশ করেছে ৮ জন, দারুসুন্নাত সিনিয়র মাদ্রাসা থেকে পরীক্ষা দিয়েছিল ৫৪ জন, পাশ করছে মাত্র ১৬ জন। পারসাতুরিয়া ছালেকিয়া মাদ্রাসায় পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেছিল ২৩ জন পাশ করছে ৭ জন। বিজয়নগর আলিম মাদ্রাসা পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেছিল ১৬ জন পাস করেছে ৬জন।

উপজেলার ১২টি মাদ্রাসা ভিতরে সবথেকে ভালো রেজাল্ট করেছে বেতকা মাহমুদিয়া মাদ্রাসা।

এ বিষয়ে কাউখালী উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার আব্দুল হান্নান জানান, এবছরের দাখিল পরীক্ষার ফল কাউখালীতে মোটেও ভালো হয় নাই । আমি প্রতিটি মাদ্রাসার প্রধানের সাথে কথা বলেছি তাদের ফলাফল বিপর্যয় কারণ কি এ নিয়ে একটা সভা করব এবং তাদের মতামত নিবো।

এ বিষয়ে কাউখালী নেছারিয়া দাখিল মাদ্রাসার সুপার মাওলানা মাহমুদ ইসলাম জানান, এ বছর যারা দাখিল পাস করেছে তারা গত করোনার সময় অষ্টম শ্রেণীতে অটো পাস করছে। আমরা সঠিকভাবে যাচাই করতে পারি নাই। তাই তুলনামূলকভাবে আমাদের রেজাল্ট খারাপ হয়েছে।