আলীকদমে বন্যা পরবর্তী বাড়ছে দুর্ভোগ, পাশে রয়েছে স্বেচ্ছাসেবক লীগ


বাংলাদেশের কণ্ঠ ডেস্ক প্রকাশের সময় : অগাস্ট ৮, ২০২৩, ৩:১৯ অপরাহ্ন /
আলীকদমে বন্যা পরবর্তী বাড়ছে দুর্ভোগ, পাশে রয়েছে স্বেচ্ছাসেবক লীগ

আলীকদম উপজেলা প্রতিনিধি : অতি বৃষ্টিতে পাহাড়ি ঢলে সৃষ্ট বন্যায় প্লাবিত আলীকদম উপজেলা সদরসহ সর্বত্র দূর্গতদের পাশে দাঁড়িয়েছে আলীকদম উপজেলা আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের স্বেচ্ছাশ্রমী নেতাকর্মীরা।
বন্যা পরবর্তীকালেও থেমে নেই এই সংগঠনের নিরলস নেতৃবৃন্দ। খোঁজ নিচ্ছেন দলীয় কর্মীসহ স্থানীয় জনসাধারণের।

বৃষ্টির কারনে পাহাড়ধ্বসে পতিত বাড়িঘরের মাটি অপসারণ ও বন্যায় ডুবে যাওয়া বাড়িঘর ছেড়ে এলাকার বিভিন্ন স্কুল-মাদ্রাসায় অবস্থান নেওয়া এবং বন্যায় আটকে পড়াদের বাড়িতে গিয়ে সরাসরি আলীকদম উপজেলা আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি ইউলিয়াম মার্মা, সাধারণ সম্পাদক জমির উদ্দিন, সাংগঠনিক সম্পাদক আলমগীর হোসেন, সাংগঠনিক সম্পাদক তরুণম ত্রিপুরা তুহিন। নয়াপাড়া ইউনিয়ন সভাপতি মোঃ জয়নাল আবেদিন, সাবেক উপজেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগ সভাপতি শুভরঞ্জন বড়ুয়া সহ উপজেলা, ইউনিয়ন ও বিভিন্ন ওয়ার্ডের নেতৃবৃন্দ ত্রাণ বিতরণ করছে।

এসময় বান্দরবান পার্বত্য জেলা পরিষদের সদস্য ও আলীকদম উপজেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি দুংড়ি মং মার্মা এবং উপজেলা আওয়ামীলীগের উপদেষ্টা সদর ইউপি চেয়ারম্যান নাছির উদ্দিন, ছাত্রলীগ সভাপতি, জাবেদ হোসেন রুবেল, আলীকদম উপজেলা আওয়ামীলীগ, ছাত্রলীগ সহ আওয়ামী পরিবারের সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দও বন্যার্তদের সাহায্যে এগিয়ে আসেন।

গত কয়েকদিনের ভারী বৃষ্টিপাতে পাহাড়ি ঢলের কারণে সৃষ্ট বন্যায় পথঘাট ডুবে এবং পাহাড় ভেঙে জন দূর্ভোগ সৃষ্টি হয়েছে পার্বত্য জেলা বান্দরবানের আলীকদম উপজেলায়।
এতে আলীকদম উপজেলার ৪ ইউনিয়নের সাথে যোগাযোগের গুরুত্বপূর্ণ সড়কগুলো এবং আলীকদম – লামা – চকরিয়া সড়কের বিভিন্ন যায়গা পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় গত দুই দিন ধরে যান চলাচল বন্ধ থাকার পর আজ থেকে আবার চলাচলের উপযোগী করে তোলা হচ্ছে।
বর্তমানে পার্শ্ববর্তী লামা উপজেলাও পানিতে তলিয়ে যাওয়া এলাকাগুলো থেকে পানি নেমে গেছে।

আলীকদম উপজেলা আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবকলীগের কতৃক উপজেলার বন্যাকবলিত অসতি ত্রিপুরা পাড়া, নয়াপাড়া, রোয়াম্ভু, চৈক্ষং মংচিং হেডম্যান পাড়াসহ বিভিন্ন এলাকার প্রায় ৩০০(তিনশত) পরিবারের মাঝে ত্রাণ বিতরণ করা হয়েছে।

ত্রাণ হিসেবে শুকনো খাবার (চিঁড়া,গুড়) রান্না করা বিরিয়ানি, চাল, ডাল, তেল,আলু, পিঁয়াজ-রশুন, মশলাসহ প্রয়োজনীয় উপকরন বিতরণ করা হয়েছে।